ভাষা
ভাষা বিচারে উপভাষাকে আঞ্চলিক ভাষা বলা হয়। একটি নির্দিষ্ট ভাষার মূলরূপ থেকেই বিচ্ছিন্ন ভাষাই হচ্ছে আঞ্চলিক ভাষা বা উপভাষা। ভাষা বিজ্ঞানে শব্দতত্ত্ব, ধ্বনিতত্ত্ব এবং রূপতত্ত্ব তিনটি ক্ষেত্রেই এ বিচ্যুতি লক্ষ্ করা যায়। সাহিত্যের সৌখিন ভাষার যেমন নিজস্ব শব্দ তত্ত্ব ধ্বনিতত্ত্ব ও রূপতত্ত্ব আছে। তেমনি আঞ্চলিক ভাষার বা উপভাষার আছে নিজস্ব শব্দ, ধ্বনি ও রূপ সম্পদ। আঞ্চলিক ভাষা নতুন ভাষা নয়। ভৌগোলিক সীমারেখার মাঝেই আঞ্চলিক রূপে প্রতিভূত। আর মাগুরা জেলার ভাষায় এর ব্যতিক্রমধর্মী নয়।
বাংলাদেশের সব জেলার আঞ্চলিক ভাষার মতই মাগুরা উপজেলার ভাষায়ও অঞ্চল ভেদে তারতম্য লক্ষ করা যায়। মাগুরা সদর উপজেলার ও আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। যশোর জেলার একটি মহকুমা ছিল আজকের মাগুরা জেলা ।
সংস্কৃতি
মাগুরা উপজেলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক ইতিহাস নির্মাণে প্রথমেই মনে রাখতে হবে হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত বাঙালি-সংস্কৃতির ইতিহাসে মাগুরার অবদান যথেষ্ট গৌরবোজ্জ্বল, যা অধিকতর গুরুত্বের ইঙ্গিতবহ। মাগুরাতেও এমন কিছু কবি সাহিত্যিক ও শিল্পী জন্ম গ্রহণ করেছেন তারা সত্যিই প্রাতঃস্মরণীয়। যাঁদের সাধনার ফসল ঘরে তুলে মাগুরা আজও কীর্তিমান।
কবি জয় চাঁদ মন্ডল মাগুরার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক প্রাণপুরুষ । তার খ্যাতি ছিল কবিয়াল হিসেবে। গাজীর গানেও তার পারদর্শিতা ছিল। তার রচিত অনেক লোকসঙ্গীত ও জেলার সংস্কৃতি অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছে। কবিয়াল কালাচাঁদ বখরী ছিলেন মাগুরার সংস্কৃতি অঙ্গনের অন্যতম আদি পুরুষ। তার পিতা হাকিম চাঁদ বয়াতি এবং পিতামহ বাউল চাঁদ ছিলেন খ্যাতিমান কবিয়াল। শাহ লতিফ আফি আনাহু ছিলেন মাগুরার লোকসঙ্গীতের আর এক দিকপাল। তাঁর ফকিরি মতের অনেক গান তার শিষ্যরা আজও পরিবেশন করে থাকেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস